সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : গত ২৪ ঘন্টা আগে জেলার নেতৃত্ব বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন উত্তরপাড়ার তৃনমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।তিনি বলেছিলেন,লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য হুগলী জেলা তৃনমূল নেতৃত্বের বদল করেছিলো রাজ্য নেতৃত্ব।জেলায় লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন জিতলেও একটি লোকসভা হারিয়েছি। বিজেপির বিপুল ভোট বেরেছে। তার পর দলে ভাল হবার কথা ছিল, ভাল না হয়ে দিনে দিনে খারাপ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল পাল্টা মিছিল, গোষ্ঠী কন্দল লেগে আছে। বেড়ালকে মাছ পাহারা দিতে দিল। বেড়ালই মাছ তুলে নিয়ে গেলো। ১১ জনের বেশী বিধায়ক অভিযোগ করেছে। মিটিং, মিছিলে তাদের জানানো হয় না। দলের কিছু অংশ বিরোধীদের উৎসাহ করছে। আমি নিজেও জানতে পারি না দলের মিটিং, মিছিলের কথা। জানিনা কি হচ্ছে এটা। বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কে না জানিয়ে মিটিং, মিছিল করা হচ্ছে। তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে দিলীপ যাদবকে সভাপতি করা হয়। গতকাল বিধায়কের ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পর বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ছিল বলে মনে করছিল দলেরই একাংশ। আর এ নিয়ে শনিবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন।দিলীপ যাদব বলেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দোপাধ্যায়,পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীরা যা নির্দেশ দেন তা পালন করা আমার কাজ।আগামী দিনেও তাই করব। আমাদের সব কাজই উপরতলার নেতৃত্বের নির্দেশে হয়।আমি বিশ্বাস করি বর্তমানে সবাই জোটবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করছি।প্রবীর ঘোষালের এই ধরনের বক্তব্য দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে কিনা। তাকে সতর্ক করা হবে কি, তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা বিষয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। শনিবারও চুঁচুড়ায় তৃনমূল দলীয় কার্যালয়ে হাথরস নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যায়নি উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। জেলা সভাপতি সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। প্রবীর ঘোষালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি জানিয়ে দেয়। ভাল লোকের জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে।বিজেপি সাধারন সম্পাদক হুগলী সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী বলেন,উত্তরপাড়ার বিধায়ক যেভাবে দলের নেগেটিভ জিনিস গুলোকে তুলে ধরেছেন। তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে তৃনমূলে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে তারা হেরেছে। তিনি আর বলেন যারা কাজ করতে চান তাদের বিজেপিতে স্বাগত।