বিধায়কের বিস্ফোরক বক্তব‍্যের ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে ড‍্যামেজ কন্ট্রোলে জেলা সভাপতি

3rd October 2020 4:36 pm হুগলী
বিধায়কের বিস্ফোরক বক্তব‍্যের ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে ড‍্যামেজ কন্ট্রোলে জেলা সভাপতি


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : গত ২৪ ঘন্টা আগে  জেলার নেতৃত্ব বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন উত্তরপাড়ার তৃনমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।তিনি বলেছিলেন,লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য হুগলী জেলা তৃনমূল নেতৃত্বের বদল করেছিলো রাজ্য নেতৃত্ব।জেলায় লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন জিতলেও একটি লোকসভা হারিয়েছি। বিজেপির বিপুল ভোট বেরেছে। তার পর দলে ভাল হবার কথা ছিল, ভাল না হয়ে দিনে দিনে খারাপ হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল পাল্টা মিছিল, গোষ্ঠী কন্দল লেগে আছে। বেড়ালকে মাছ পাহারা দিতে দিল। বেড়ালই মাছ তুলে নিয়ে গেলো। ১১ জনের বেশী বিধায়ক অভিযোগ করেছে। মিটিং, মিছিলে তাদের জানানো হয় না। দলের কিছু অংশ বিরোধীদের উৎসাহ করছে। আমি নিজেও জানতে পারি না দলের মিটিং, মিছিলের কথা। জানিনা কি হচ্ছে এটা। বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কে না জানিয়ে মিটিং, মিছিল করা হচ্ছে।  তপন দাশগুপ্তকে সরিয়ে দিলীপ যাদবকে সভাপতি করা হয়। গতকাল বিধায়কের ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পর বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ছিল বলে মনে করছিল দলেরই একাংশ। আর এ নিয়ে শনিবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন তৃনমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন।দিলীপ যাদব বলেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দোপাধ্যায়,পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীরা যা নির্দেশ দেন তা পালন করা আমার কাজ।আগামী দিনেও তাই করব। আমাদের সব কাজই উপরতলার নেতৃত্বের নির্দেশে হয়।আমি বিশ্বাস করি বর্তমানে সবাই জোটবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করছি।প্রবীর ঘোষালের এই ধরনের বক্তব্য দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে কিনা। তাকে সতর্ক করা হবে কি,  তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা বিষয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। শনিবারও  চুঁচুড়ায় তৃনমূল দলীয় কার্যালয়ে হাথরস নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যায়নি উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে। জেলা সভাপতি সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।  প্রবীর ঘোষালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি জানিয়ে দেয়। ভাল লোকের জন্য বিজেপির দরজা খোলা আছে।বিজেপি সাধারন সম্পাদক হুগলী সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী  বলেন,উত্তরপাড়ার বিধায়ক যেভাবে দলের নেগেটিভ জিনিস গুলোকে তুলে ধরেছেন। তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে তৃনমূলে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির  কাছে তারা হেরেছে।  তিনি আর বলেন যারা কাজ করতে চান তাদের বিজেপিতে স্বাগত।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।